বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এক পুলিশ কর্মী বলেন, ”বিষয়টা অনেকটা কমান্ডো অপারেশনের মতো মনে হচ্ছিল। কয়েকজন অভিবাসনপ্রত্যাশী ডিঙি ও তার ইঞ্জিন বয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, আর বাকিরা আমাদের দিকে পাথর ছুঁড়ছিল, যাতে আমরা তাদের কাছে না পৌঁছাতে পারি।”
এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখায় ফরাসি সীমান্তে পুলিশের নিত্যদিনের ঘটনাবলী। এখানে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভিড় নিয়মিত লেগেই থাকে, যা মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই পুলিশের কাছে। তাছাড়া, এই তীরও বেশ দীর্ঘ, ফলে দালালেরা সহজেই হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়।
২০২১ সালে যুক্তরাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলের ডোভারের কাছের তীরে এসে নামেন ১৩ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। এই আগমন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষুব্ধ করে ও তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন ফরাসি কর্তৃপক্ষের দিকে। কিন্তু গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ সোমবারে ফরাসি তীরে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা।
এক পুলিশকর্মীর মতে, ”হাজার হাজার কিলোমিটারের পথ পেরিয়ে আসা এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা একরকম বদ্ধপরিকর যেকোনো মূল্যে যুক্তরাজ্যে পৌঁছাতে। আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে তারা ঘন ঘন বদলাতে থাকে পালাবার পদ্ধতি।”
তারপরেও, গত কয়েক বছরের তুলনায় ফরাসি পুলিশ সাফল্যের সাথে আরো বেশি সংখ্যক অবৈধ পারাপার ঠেকিয়েছে, বাজেয়াপ্ত করেছে বহু ডিঙি নৌকা। ঘটনাস্থলে পরে থাকতে দেখা যায় এমনই একটি ডিঙির অংশ, যা পুলিশ থামাতে পেরেছিল। পাশে পড়ে আছে ইঞ্জিনের টুকরো, ছেঁড়া কাপড় ইত্যাদি।
সোমবারেই একটু পরের দিকে নিকটবর্তী ভিসান্ট শহরে দেখা যায় একদল অভিবাসনপ্রত্যাশীকে। পিঠে ব্যাগ ও হাতে জ্যাকেট নিয়ে তারা ক্যালে বন্দরের দিকে যাবে, এমন বাসের খোঁজে ছিল। এবারের মতো তাদের যাত্রার সব পরিকল্পনা পুলিশ ভেস্তে দিয়েছে।
তাদের মধ্যেই এক অভিবাসনপ্রত্যাশী, যিনি মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছেন, জানান যে এই নিয়ে সাতবার তিনি সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন।